চাঁদাবাজিতে বেপরোয়া ছিলেন এসআই আকবর।

আবু ইউসুফ নিজস্ব নিউজ রুম।

লকডাউনের সময় মহাজনপট্টিতে দোকান খুলতে হলে অনুমতি লাগত এসআই আকবরের। দোকানের এক শাটার খুললে ১ হাজার টাকা ও দুই শাটার খুললে ২ হাজার টাকা করে দিতে হতো তাকে। সিলেট নগরীর বন্দরবাজার এলাকা

ঘিরে ছিল এসআই আকবরের অপরাধ রাজ্য। হকারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, অসামাজিক কাজের জন্য হোটেল থেকে মাসোহারা, জুয়াড়ি, ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতি সপ্তাহে অর্থ আদায়। রাতে রাস্তা থেকে নিরীহ লোকজনদের ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে মাদক ও অবাঞ্ছিত নারীদের দিয়ে আটক দেখানোর ভয় দেখিয়ে অর্থ

আদায় ছিল এসআই আকবরের নিত্য দিনের ঘটনা। এক হকার নেতা জানান, বন্দরবাজার ফাঁড়ির আওতাভুক্ত এলাকায় ৮০০-৯০০ ভাসমান হকার রাস্তা ও ফুটপাথে বসেন। প্রত্যেক হকারের কাছ থেকে প্রতিদিন ২০-৫০ টাকা করে চাঁদা উঠাতেন এসআই আকবর। তার পক্ষে কনস্টেবল জিয়া এই চাঁদা তুলতেন। সম্প্রতি জিয়া

শিবেরবাজার ফাঁড়িতে বদলি হয়েছেন। সুরমা মার্কেটের ২টি, মহাজনপট্টি ও কালিঘাটের ২টি ও জিন্দাবাজারের ২টি হোটেল থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা করে মাসোহারা আদায় করতেন তিনি। এ ছাড়া কাস্টঘর, কিনব্রিজের নিচ ও কালিঘাট এলাকায় মাদক কারবারি ও জুয়াড়িদের (শিলং তীর) কাছ থেকে সপ্তাহ ভিত্তিতে টাকা আদায় করতেন আকবর।

বন্দরবাজারকেন্দ্রিক একাধিক ছিনতাইকারী চক্রকেও শেল্টার দিতেন ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *