
মিজানুর রহমান মিলন, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের চৌড়া গ্রামে পাঁচশত বছরেরও বেশি প্রাচীন তেতুল গাছটি নজর কেড়েছে এলাকাবাসীর। সৌন্দর্য বিলিয়ে দিচ্ছে গাছটির আঁকাবাঁকা ডালপালার বিস্তার। প্রকৃতির সৌন্দর্য বোঝা যায় গাছটির কাছে গেলে। ক্লান্ত কৃষক এবং পথচারীরা প্রতিদিনই এই গাছটির নিচে বসে নিজেকে সতেজ করেন। বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী রানিরহাট থেকে দক্ষিনে মানিকচাপড় গ্রাম হয়ে ০৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আসতে হবে চৌড়া গ্রামের তেঁতুলতলায়। উপজেলার মধ্য এ গাছটিই সবচেয়ে পুরাতন তেঁতুল গাছ। জেলার মধ্যে আর এরকম পুরাতন গাছ আছে কিনা জানা নেই। উপজেলা পরিষদ তাড়াশ সিরাজগঞ্জের (এডিপি-২০১৯-২০) এর অর্থায়নে চুক্তি মূল্য:-১,৭০,০২৭/=ব্যায়ে চৌড়া গ্রামের তেঁতুলতলায় গোল চত্বর নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারি জায়গায় হওয়ায় এই গাছটির তেঁতুল যে কেউ নিতে পারেন। ধরেও পর্যাপ্ত পরিমাণ। বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য পাখির নিরাপদ আশ্রয় হয়েছে গাছটি। গাছের ছায়া তলে গোল চত্বরে প্রতিদিন শতাধিক লোক জন সমবেত হয়। বিভিন্ন সময় লাগানো সাইনবোর্ডের অসংখ্য তারকাটা বেঁধে আছে গাছটির বুকে। মুলকান্ড ঘিরে বসেছে চা,পান, সিগারেট, মুদি সহ বেশকিছু টং দোকান। চৌড়া গ্রামের মৃত্যু আয়েন উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে মজিবর রহমান প্রামানিক (৬৫), ও মৃত্যু নকুল ফকিরের ছেলে মোঃ করম আলী ফকির (১০০), এবং পার্শ্ববর্তী চকদেবিরামপুর গ্রামের মোঃ আবু ওহাব আলীর ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম (৩২) ও মৃত্যু এনায়েতুল্লাহ আকন্দের ছেলে গৃহশিক্ষক মোঃ জয়নুল আবেদীন (৪৪) এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ নাসির উদ্দিন আমাদের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোঃ মিজানুর রহমান মিলন কে বলেন, বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে তেঁতুল গাছটিকে তারা এভাবেই দেখে আসছেন। দাদা-নানাদের মুখে গাছটির অনেকগুলো গল্প শুনেছেন। তারাও নাকি ছোটবেলা থেকে একইরকম দেখেছেন। এবং তাদের দাদা-নানারাও নাকি গাছটিকে এভাবেই দেখেছেন । গাছটি পাঁচশত বছরেরও বেশি পুরনো হবে বলে তারা জানিয়েছেন। সম্প্রতি চৌড়া গ্রামের তেঁতুলতলায় গোল চত্বর নির্মাণ করায় তাড়াশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন খান, ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা: মর্জিনা ইসলামের প্রতি আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন চৌড়াসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্থানীয় জনসাধারণ।