মামলা বাজ হারুন মেম্বার গংদের অত্যাচারে হয়রানির শিকার মোঃ খায়রুল ইসলামের পরিবার।

আবু ইউসুফ বিশেষ প্রতিনিধি দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ। ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা থানাধীন ৯ নং ওয়ার্ড ৪ নং কুমারগাতা ইউনিয়ন মৃত আসমত আলীর ছেলে খাইরুল ইসলাম ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলাসহ বাড়িঘরে ভাঙচুর লুটপাট আর নির্যাতন করেই চলছে হারুন মেম্বার গং ও তার বাহিনী। শুধু খাইরুল ইসলাম ও তার পরিবার নয় অসহায় মানুষদের এভাবেই নাস্তানাবোধ করে এবং একের পর এক মিথ্যা মামলাসহ বাড়ি-ঘরে হামলা-লুটপাট চালিয়েই তাদের আখের গোছাতে এই সিন্ডিকেটটি ভিষণ তৎপর বহুদিন ধরে।
সূত্র জানায়, বিবাদীদের সাথে খায়রুল ইসলামের ছোট ভাই মোঃ সবুজ মিয়া (২৬) এর সাথে বেশ কিছুদিন যাবৎ বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলিয়া আসছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে গত ৩ ডিসেম্বর রাত ১১:৩০ ঘটিকার সময় বিবাদী হারুন মেম্বারের নেতৃত্বে মিলন, মাসুদ,মিতুল, মিন্টু ,আব্দুল জলিল সহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে খাইরুল ইসলামের বাড়িতে প্রবেশ করে তার ছোট ভাই সবুজের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকলে খাইরুল ইসলামের ছোট ভাই সবুজ ঘর থেকে বাহির হয়ে প্রতিবাদ করলে হারুন মেম্বার সহ তার সাথে আসা লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়ির লোকজনের উপর হামলা করে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।

হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচতে বাড়িতে থাকা মহিলাদের আত্মচিৎকারে আশপাশে গ্রামের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারী যাবার সময় বলে যায় এ ব্যাপারে কেউ মুখ খুললে তাদের পরিনাম খাইরুল ইসলাম এর থেকেও ভয়াবহ হবে বলে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যায়।

তাৎণিক থানা পুলিশের সাহায্য নিতে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ এসে বাড়িঘর ভাঙচুরের ছবি এবং ভিডিও নিয়ে যায়। হামলায় খাইরুল ইসলাম এর ছোট ভাই রাশিদুল গুরুতর আহত হয়। আহত রাশিদুল কে প্রথমে মুক্তাগাছার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্মরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদিকে হামলাকারীরা খাইরুল ইসলাম সহ তিন ভাই ও চাচাকে জড়িয়ে মুক্তাগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে বাড়ি-ঘরে হামলার পর থেকে খায়রুল ইসলামের ছোট ভাই সবুজ মিয়া কে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তার পরিবার উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনযাপন এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে হামলার নেতৃত্ব দানকারী হারুন মেম্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চান না। এলাকাবাসীর দাবি সঠিক তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য জোড় দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

সূত্রঃ দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *