
আবু ইউসুফ ঢাকা বাংলাদেশ। পেশায় রিকশা চালক জালাল ফকির বয়স(৬০) ছুঁই ছুঁই পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া বাজার ও আশপাশে রিকশা চালিয়ে আয় রোজগার করেন তার শ্রমিক জীবনের সোনালি সময় কেটেছে ঢাকায় রিকশা চালিয়ে (২০) বছর বয়সে পারিবারিক সিদ্ধান্তে বিয়ে করেন মোঃ জালাল ফকির স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় পাড়ি জমান তিনি প্রথম সন্তান প্রসবের সময় মারা যান স্ত্রী রেনু বেগম।
কিছুদিন পর নুরজাহান নামের আরেক নারীকে বিয়ে করেন তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয় কিছুদিন পর রোগাক্রান্ত হয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী ও মারা যান প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী দুই সন্তান রেখে মারা যাওয়ায় মানসি কভাবে অনেকটা ভেঙ্গে পড়েন তিনি একপর্যায়ে আবার বিয়ে করেন মোঃ জালাল ফকির কিছুদিন পর তৃতীয় স্ত্রী মারা না গেলেও তাদের সংসার ভেঙ্গে যায় এরপর আবার বিয়ে করেন তিনি এভাবে একে একে (২৪) জন নারীকে বিয়ে করেন মোঃ জালাল ফকির ঢাকার চিকিত্ সকরা জয়েন্টের ব্যথা সম্পর্কে এটি লুকিয়ে রেখেছিলেন
প্রত্যেক নারীর সঙ্গেই কিছুদিন সংসার করার পর তাদের দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়ে সম্পর্ক ভেঙ্গে যায় তার (২৪) তম স্ত্রী পিয়ারা বেগমের সঙ্গে প্রায় (৪)বছর আগে বিচ্ছেদ হয় রংপুরের মেয়ে পিয়ারা বেগম ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
পিয়ারা বেগমের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর মোঃ জালাল ফকির সিদ্ধান্ত নেন তিনি আর বিয়ে করবেন না এরপর ঢাকা থেকে গ্রামে ফিরে আসেন তিনি বর্তমানে তিনি উত্তর কাছিপাড়া গ্রামে বড় ছেলে জামাল হোসেনের সঙ্গে আছেন তার বড় ছেলে জামাল ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।
(২৪) নারীকে বিয়ে করার প্রতিক্রিয়ায় মোঃ জালাল ফকির গণমাধ্যমকে বলেন (২৪) জনের মধ্যে রূপেগুণে আমার প্রথম স্ত্রীই সেরা ছিল তার মতো আর কারও সঙ্গে সংসার করে শান্তি পাইনি এখন ছেলের সংসারে আমার খুব ভালো সময় কাটছে ভবিষ্যতে আর বিয়ে করার ইচ্ছা আছে কিনা এমন প্রশ্নে মোঃ জালাল ফকির বলেন অনেক হয়েছে আর বিয়ে করব না বিয়ের সাধ মিটে গেছে।