
দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি.
ঢাকার দোহার উপজেলার মাঝিরচর বাজার, কুলচুরি, দেবীনগর, জয়পাড়া-কাজিরচর সড়কে ৬ কোটি ৬৮ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬০.০৫ মিটার আরসিসি ব্রিজের এ্যপ্রোচ সড়ক নির্মাণের ১০ দিনের মধ্যেই ভেঙে পড়ল। স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রথমে কাজের ধীরগতি পরে তড়িঘড়ি করে নির্মাণ ও এলইজিডি’র সঠিক তত্ত্বাবধান না থাকায় নি¤œ মানের কাজ হওয়ায় বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে ব্রিজের এ্যপ্রোচ সড়ক।
ব্রিজটি নির্মাণ করে এম.এম. বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারস লিমিটেড। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অর্থায়নে দোহার উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের তত্ত্বাবধানে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের কাজটির টেন্ডার পান এম.এম. বিল্ডার্স। কাজ শুরু করেন ২৩-০২-২০২২ইং। ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী কাজ শেষ করার সয়ম ১২ জুলাই ২০২৩ ইং। কাজ শুরুর দিকে ধীরগতি ছিল। কিন্তু সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করার জন্য শেষের দিকে এসে তড়িঘড়ি করে কাজটি সম্পূর্ণ করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৬০.০৫ ফুট দীর্ঘ আরসিসি ব্রিজের দুই পাশের এ্যপ্রোচের চার দিকের সড়ক বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে। এছাড়া ব্রিজের গোড়ায় বাঁধাই করা বক্স সড়ে গেছে সড়ক ফুটো হয়েছে। ব্রিজের পশ্চিম দিকের বাম পাশের এ্যপ্রোচের পুরো মাটি বৃষ্টিতে সড়ে গেছে। বর্ষারকালে রাস্তা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবণা রয়েছে।
স্থানীয় মো. রফিক মোল্লা জানান, ব্রিজটি হওয়ায় আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে ব্রিজের ঢালের রাস্তার পাশ দিয়ে পানি নেমে মাটিসহ বক্স সড়ে রাস্তা ভেঙে গর্ত ও নালা হয়েগেছে। যদি এখনই সড়কটি ভেঙে যায়, তাহলে বর্ষাকালেতো কিছুই থাকবে না।
আরও এক স্থানীয় শরিফুল হক রাজন বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়ম মফিক কাজ না করার কারণে এপ্রোচে মাটি দিয়ে রুলিং ঠিকমত না করায়, গাইড ওয়াল না দেয়ায়, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রাখায় এবং এলইজিডি’র সঠিক তত্ত্বাবধানের অভাবে এভাবে বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে ব্রিজের এপ্রোচ সড়ক।
এবিষয়ে দোহার উপজেলা নির্বোাহী প্রকৌশলী হানিফ মোহাম্মদ মুর্শেদী জানান, এই প্রতিষ্ঠানের এই ব্রিজের কাজের ফাইনাল বিল দেওয়া হয়নি এখনো? ফাইনাল বিলের আগে আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মেপে বুঝে নিয়েই বিল দেওয়া হবে। আমাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়ার আগেই সব ঠিক করে দেবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।