দোহারে কেটে নেওয়া হচ্ছে ফসলি জমির মাটি,নষ্ট হচ্ছে সড়ক

কাজী জোবায়ের আহমেদ.
ঢাকার দোহার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমি থেকে অনুমোদন ছাড়াই মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। দিনে এবং রাতে ভেকু মেশিন দিয়ে জমি খনন করে সেই মাটি বিক্রি করা হচ্ছে এলাকার কয়েকটি ইটের ভাটায়। ট্রাক ও ট্রলিতে মাটি পরিবহন করায় ভেঙে যাচ্ছে রাস্তা। ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
সোমবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার ইউসুফপুর এলাকায় পৌরসভার নির্মাণাধীন পানির টাংকির সাথে অনুমোদন ছাড়াই ফসলি জমি কেটে নিচ্ছে স্থানীয় টেকু মেম্বারের ছেলে এমারত হোসেন নামে এক ব্যক্তি। মাটি বহনকারী বিভিন্ন যানবাহনের দাপটে রাস্তাগুলোর চরম ক্ষতি হচ্ছে। মাটি বহন করার গাড়িতে চলাচলের রাস্তার অর্ধেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া ধুলাবালিতে সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষজনকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত এমারত হোসেন জানান, তার মাটি কাটার অনুমোদন নেই। কিভাবে মাটি কাটছেন জানতে চাইলে কোনো উত্তর দিতে পারেননি তিনি।
এই স্থানের আশেপাশেও কয়েকটি যায়গায় অনুমোদন ছাড়াই ভেকু মেশিন (এস্কেভেটর) দিয়ে মাটি কাটার কাজ চলছে গত কয়েকদিন ধরে। এই মাটি কয়েকটি মিনি ট্রাকে করে নেওয়া হয় পাশেরই একটি ইটের ভাটায়।
এর আগে একই উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নে একটি ইটভাটা ও মাটি বিক্রেতাকে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, এসব ব্যবসায়ীদের প্রভাব থাকায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফসলি জমির মালিকরা স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চুক্তি করে মাটি বিক্রি করছেন। মাটি বহনকারী গাড়ির কারণে আশপাশের জমির ফসলও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
এ বিষয়ে দোহার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামুন খান জানান, অনুমোদন ছাড়া ফসলি জমি কাটার কোন বিধান নেই। যদি অনুমোদন ছাড়া কেউ মাটি কাটে এবং ভাটায় বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *