যশোরে কুয়াদার বাজারে দোকানে অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা আটক ২, অতপর সমযােতায় মুক্তি

মোঃ ওয়াজেদ আলী যশোর সদর থানা প্রতিনিধিঃ
যশােরের কুয়াদার বাজারে এক দোকানে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার আনুমানিক বেলা ১১টার কুয়াদা বাজারের ফল
ও কাপড় ব্যবসায়ী সুমন হােসেনের দোকানে এ ঘটনা ঘটায়।
জানা যায়, যশােরের কুয়াদা বাজারের ফল ও কাপড় ব্যবসায়ী রশিদ বিশ্বাসের ছেলে সুমন হােসেন (২০)’র
দোকানে দুপুর ১২ টার দিকে হামলা চালায় ৭/৮ জন সন্ত্রাসী। এ সময় সুমন চিৎকার দিলে পাশের দোকানদার
সহ বাজারের লােকজন ছুটে আসে। সন্ত্রাসীদল পালাবার চেষ্টাকালে যশাের বকচরের আয়ুব আলী গাজীর ছেলে
অনি আহম্মেদ(২০) ও বেজ পাড়ার লিটু মােল্যার ছেলে শান্ত(১৯) বার্মিজ চাকুসহ জনতার হাতে আটক হয়
এবং বাকিরা পালিয়ে যায়। আটককৃত দুইজনকে জনগন কুয়াদা বাজার বণিক সমিতির কাছে সােপর্দ করেন।
খবর পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মাইনুল সঙ্গীও ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তাৎক্ষনিক
আটককৃতদের পরিবারে যােগাযােগ করলে তাদের পরিবারের লােকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। দীর্ঘ তিন ঘন্টা
যাবৎ এস আই মাইনুল, বাজার বনিক কমিটির সভাপতি আক্তারুজ্জামান শান্তি, সম্পাদক অহেদুজ্জামান বাচ্চু,
কোষাধ্যক্ষ নাছির উদ্দীন টনি ও আটককৃতদের পরিবার আলােচনা সাপেক্ষে সমযােতায় সন্ত্রাসীদের মুক্তি দেয়।
তখন বাজার ব্যাবসায়ী ও স্থানীয় সাংবাদিক পুলিশের কাছে ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে এসআই মাইনুল
জানান, এটা আমার থানার এরিয়ার মধ্যে নয়। আমি আটককৃতদের অস্ত্রসহ কুয়াদা বাজার বনিক সমিতির
কমিটির হাতে হস্তান্তর করেছি। এবিষয়ে বাজার কমিটির সম্পাদক অহেদুজ্জামান বাচ্চু বলেন, কোতয়ালী থানার
পুলিশ অস্ত্রসহ আসামীদের আমাদের হাতে সােপর্দ করেছে সত্য, কিন্তু আমরা বিষয়টি পুলিশের উপস্থিততে
উভয় পক্ষের সমযােতায় আপোষ নামা করে ও মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। আপোষ নামাটি ও অস্ত্রটি মণিরামপুর
থানায় জমা দিয়ে এসেছি। এব্যাপারে মণিরামপুর থানার ওসির সাথে মুঠোফোনে কুয়াদার সাংবাদিক পরিচয়
দিলে ফোনটি কেটে দেয়, পুনরায় যােগাযােগের চেষ্টা করলে ফোনটি কেটে দেয় । এরিপাের্ট লেখা পর্যন্ত কোন
মামলা হয়নি বলে জানা গেছে। পুলিশ আসামী না নিয়ে যাওয়ায় বাজারে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোবের
সৃষ্টি হয়েছে ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *