
মোঃ ফয়সাল আহমেদ রাজ:
আমাদের দেশের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় যেটি সেটি হল ধর্ষণ। পত্র-পত্রিকায় চোখ বোলালে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গেলে দেখা যায় অহরহ ধর্ষণের খবর। আর যারা শিকার হচ্ছে ধর্ষণের সেটা তো আপনারা বুঝতেই পারছেন কে বা কারা?আরেকটা বিষয় কারা করছে ধর্ষণ তাকে?নাকি নিজেরাই হচ্ছে ধর্ষিতাদের মধ্যে একজন।
ধর্ষণ একটা সামাজিক ও মারাত্মক অপরাধ যা সমাজের জন্য অত্যন্ত লজ্জার ও বিব্রতকর ঘটনা। ধর্ষক বা ধর্ষিতা যে ই হোক উভয়ে ই ব্যক্তি পরিবার সমাজ এবং রাষ্ট্রের কাছে নিকৃষ্টতম ব্যক্তি। সকলেই তাদেরকে অবহেলার চোখে দেখে।
কেন দিন দিন ধর্ষণের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে আমরা কি একটিবার চিন্তা করে দেখছি?
ধর্ষণের জন্য শুধু ছেলেদের কে দায়ী করা হয় কিন্তু এটা নিতান্তই ভুল!
ধর্ষণের সাথে নারীরাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত তার কারণ তাদের চলাফেরা, তাদের মনোভাব, তাদের উগ্র পোষাক,প্রেম ইত্যাদি।
অনেক সময় রাস্তায় বের হলে দেখা যায় মেয়েরা এমন ধরনের পোশাক পড়ছে যা দেখে প্রতিটি ছেলে তাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য ও কল্পনা করবে এটাই স্বাভাবিক। এমনকি এক বিছানায় যাওয়ার প্রস্তাব ও দিতে পারে! বিছানায় যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার একমাত্র কারণ হলো তার অশালীন পোশাক ও তার রাস্তা দিয়ে কোমড় দুলিয়ে দুলিয়ে হাটাহাটি করা।
আবার অনেক মেয়েকে দেখা যায় অল্পকথায় গলে যেয়ে ছেলেদের সাথে ডেটিংয়ে যাচ্ছে।
অবাধে চলাফেরার কারণে ও কিন্তু অনেক নারী আজকাল ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। আমরা যদি আমাদের দেশের পার্ক গুলোর দিকে তাকাই তাহলে দেখা যায় একটা মেয়ে কিভাবে বসে আছে একাকী!তার একাকী বসে থাকার ফলে বখাটে ছেলেরা এসে তাকে প্রেমের অফার দেয়।আর প্রেমের অফার মেনে না নিলে তার সাথে জোড় পুর্বকভাবে শারীরিক মিলন করে তাকে ধর্ষিতাদের কাতারে ফেলে।
বিশেষ করে আজকাল একটা বিষয় বেশ লক্ষ করা যাচ্ছে মেয়েরা প্রায়ই থানায় গিয়ে অভিযোগ করতেছে তার সাথে প্রেম করে তার সতীত্ব কে হরণ করেছে। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে অনেক মেয়ে ছেলেদেরকে প্রেমের অফার দিয়ে তাদের সাথে দুই একমাস প্রেম করে নিজের ইচ্ছামতে নিজের সতীত্ব কে বিয়ের আগে প্রেমিকের কাছে সঁপে দিচ্ছে।আবার কোন কারনে প্রেমের অবনতি ঘটলে থানায় গিয়ে অভিযোগ করছে সে যার সাথে প্রেম করতো সে তাকে ধর্ষণ করেছে। একটা কথা হল প্রেমিক প্রেমিকা যখন দুজন শারীরিক সম্পর্কের লিপ্ত হয় তখন তাদের মনে থাকেনা তারা কি করছে কিন্তু পরে তাদের মাথায় ভূত এসে চেপে পরে ধর্ষিত হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো নিজেদের ইচ্ছাতে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে তাকে কি বলে এটা পাঠকদের কাছে প্রশ্ন থাকলো?
আরেকটা বিষয় হচ্ছে মানসিকতা আমাদের প্রত্যেকেরই যৌবন আছে আর এই যৌবনে সময় আমাদের অনেকেরই অনেক কিছু করতে ইচ্ছে করে কিন্তু করতে ইচ্ছে করাটা যে ভুল এটা আমরা কখনো ভাবি না আর আমরা যারা ছেলে তারা একটিবার চিন্তা করিনা আমার ঘরেও মা, বোন,ভাবি,ফুফু আছে।
আসুন আমরা সকলে এক হয়ে ধর্ষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। যে বা যারা ধর্ষণের সাথে জড়িত হবে তাদেরকে পরিবার,সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে বয়কট করি তাহলেই সম্ভব হবে ধর্ষণমুক্ত পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্র গড়ে তোলার।