
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ঢাকার দোহার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামে ব্রীজের সংযোগ সড়ক নির্মানে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক নারী রওশনারার বাড়ি ঘর ভাঙ্গার অভিযোগ পাওয়া যায়। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠিকাদার স্বপন বেপারী ও তার লোকজন নিয়ে স্থানীয় মৃত শেখ মোতালেব মাদবরের স্ত্রী রওশনারা বেগমের বাড়ির একটি ঘর ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে ব্রীজের সংযোগ সড়ক নেয়ার জন্য। কিন্তু ব্রীজের ঢালটি রাস্তার দিকে না গিয়ে রওশনারা বেগমের বাড়ির দিকে যাওয়াতে এই সমস্যার তৈরি হয়েছে।
রওশনারা বেগম ও তার ছেলের স্ত্রী লাভলী বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কোন ধরনের লিখিত নোটিশ না দিয়েই হঠাৎ করে আজ সকালে আমরা ঘুমে থাকা অবস্থায় ঠিকাদার স্বপন বেপারী লোকজন এনে আমাদের একটি থাকার ঘর ও রান্না ঘর ভেঙ্গে দেয়। আমরা ব্রীজের বিপক্ষে নই, কিন্তু রাস্তার মাথা একদিকে আর ব্রীজের মাথা আরেকদিকে দিয়ে ইচ্ছে করে আমাদের বাড়ির উপর দিয়ে নেয়া হয়েছে। বাসার সবাই রোজা রেখেছে, কোথায় রান্না বান্না করে তাদের ইফতার খাওয়াবো।
তারা আরো বলেন, যদি আমাদের বাড়ি ঘর নিয়েই যায় তাহলে আমাদের অন্যত্র বাড়ি ঘর করে দেক বা ক্ষতি পূরন দেক। তারা কোনটাই করছে না। পেশি ক্ষমতা দেখিয়ে আমাদের উচ্ছেদের চেষ্টা করা হচ্ছে। ক্ষতিপূরণ চাইলে ঠিকাদার স্বপন আমাদের চাঁদাবাজ বলে গালিগালাজ করে। আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। আল্লাহ তাদের ভালো করবে না, যারা আমাদের ক্ষতি করছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার স্বপন বেপারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি রাগান্বিত হয়ে উল্টো প্রতিবেদকের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। স্থানীয়রা মনে করছেন ব্রীজ নির্মানের পূর্বে পরিকল্পনার ঘাটতি ছিলো। পরিকল্পনা বা ব্রীজের মেজারম্যান্ট যদি সঠিক থাকতো তা হলে ব্রীজ এভাবে এতো বাকা ভাবে নির্মিত হতো না। দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলম বলেন, সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং উন্নয়ন কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকোৌশলী হানিফ মুর্শেদী জানান, ব্রীজের সংযোগ সড়ক নির্মানে ঠিকাদারকে সময় বেধে দেয়া হয়েছিলো।