
নিজস্ব প্রতিবেদক.
ঢাকার দোহার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে ভূয়া শিক্ষাগত সনদ দিয়ে দলিল লেখার লাইসেন্স করে কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে দলিল লেখক মো.শহিদুল ইসলাম শিকদারের বিরুদ্ধে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নেয়ার সময় ভূয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ব্যবহার করেন। শহিদুল ইসলাম শিকদারের বাড়ি উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের শিলাকোঠা এলাকায়। বাংলাবাজারে তার একটি অফিস রয়েছে বলে জানা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন দলিল লেখক জানান, তিনি এসএসসি পর্যন্ত পড়ালেখা না করেও দলিল লেখার লাইসেন্স পেতে ব্যবহার করেছেন জাল সনদ। এনিয়ে দোহার সাব- রেজিস্টার অফিস, জেলা সাব রেজিস্টার অফিস ও আইজিআর বরাবর লিখিত অভিযোগের একটি কপি এসেছে প্রতিবেদকের হাতে।
২০১৪ সালের ১৬ই নভেম্বর কার্যকরকৃত বিধিমালায় বলা হয় যিনি স্বীকৃত কোন বোর্ড হতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন,যিনি এলাকায় প্রচলিত স্থানীয় ভাষায় দলিলের মুসাবিদা করিতে পারেন তারা নিবন্ধন আইনের ৮০ ধারা (ছ) এ উল্লেখিত দলিল লেখকের কার্য করিবার সনদের আবেদন করতে পারবেন। অথচ অভিযোগ পাওয়া যায় শহিদুল ইসলাম শিকদার জাল সার্টিফিকেট প্রদান করে দলিল লেখার সনদ নেন। এনিয়ে নিবন্ধন অধিদপ্তরের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন অনেকে।
জানা যায়, মানিকগঞ্জে একটি বিদ্যালয়ে তিনি নতুন করে নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছেন বলে জানান অনেকে।
এবিষয়ে দোহার সাব-রেজিস্টার মো.ইয়াসিন আরাফাত বলেন, এই বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ হাতে পাইনি। কোন অনিয়ম হলে জেলা সাব-রেজিস্টার ব্যবস্থা নিবেন।
এবিষয়ে জানতে ঢাকা জেলা সাব-রেজিস্টার অহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এব্যাপারে মহাপরিচালক নিবন্ধন উম্মে কুলসুম বলেন, কেউ আইনের ব্যক্তয় ঘটালে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযুক্ত দলিল লেখক শহিদুল ইসলাম শিকদার বলেন, আমার এস,এস,সি সার্টিফিকেট আছে! এসময় সার্টিফিকেট দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি। তিনি প্রতিবেদককে সংবাদ প্রচার করতে নিষেধ করেন এবং অফিসে এসে দেখা করতে চান।