
”
মোঃসাদ্দাম হোসাইন সোহান।
বিশেষ প্রতিনিধি
পৌরসভা নির্বাচনের উৎসব এখন ফরিদপুর পৌরএলাকার আপামর জনসাধারনের মাঝে। ২৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পৌরসভা নির্বাচন। এবারে প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী একাধিক। ফলে ভোটারদের কদর বেড়েই চলছে। সকাল থেকে রাত অবধী প্রার্থীদের মধ্যে চলছে ভোটের হিসাব ও চাওয়ার প্রতিযোগীতা।
এ বিষয়ে সরেজমিনে ফরিদপুর পৌরসভার বিভিন্ন জায়গায় ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের পছন্দের প্রার্থী তালিকায় রয়েছে করোনাকালীন সময়ে যেই মানুষগুলো দুসময়ে তাদের পাশে সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো যারা। তবে ফরিদপুর পৌরসভায় সাবেক কাউন্সিলর থেকে যারা নতুন করে প্রার্থী ঘোষনা করেছে তাদের থেকে ভোটারদের কাছে নতুন মুখের প্রার্থী পছন্দের তালিকায় বেশী।
ধারাবাহিক ভাবে ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচনের ইতিবৃত্তান্ত সংবাদ আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন মুখ এবং ফরিদপুর পৌরবাসীর কাছে প্রার্থী তালিকায় প্রথম পছন্দের এমন একজন প্রার্থীর বিষয়ে আজ তুলে ধরছি। ফরিদপুর পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের মানবতার ফেরিওয়ালা বলে স্থানীয়দের পরিচিত এবং প্রিয়মুখ মোঃ মিঠু মিয়া। এলাকার সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে যার সহযোগীতার হাত সব সময় ছিলো খোলা। করোনাকালীন সময়ে যিনি জীবনের মায়া ত্যাগ করে এলাকাবাসীর খাদ্য বিতরনে পাশে ছিলেন। এটা এলাকাবাসীর কাছে খুবই মনে রাখার মত ঘটনা।
ফরিদপুর পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের অনেকেই জানায়, মোঃ মিঠু মিয়া একজন সাদামাটা লোক। তার আয়ের একটা বড় অংশ যেন এলাকার গরীব অসহায় মানুষের হক এটা তিনি বারবার প্রমাণ করেছেন।শুধু করোনাকালীন আপদেই নয় এলাকার অসহায় ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় সহযোগীতা, গরীর মানুষের মেয়ে বিয়ে দেওয়ায় সহযোগীতা করা, সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে যুবসমাজেকে খেলাধুলায় ব্যাস্ত রাখা, মসজিদ, মাদ্রাসায় এতিমদেরসহ আলেমদের পাশে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া মোঃ মিঠু মিয়ার যেন একটা অভাসে পরিনত হয়েছে।
ফরিদপুর পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের আপামর জনসাধারনের দাবী ১০ নং ওয়ার্ডে ৬ হাজার কিছু বেশী ভোটার রয়েছে এই ওয়ার্ডে। এলাকাবাসীর কাছে মোঃ মিঠু মিয়া একটি জনপ্রিয় মুখ। এমন একজন মানবতার ফেরওয়ালা যেন তাদের পাশে একজন কাউন্সিলর হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে মোঃ মিঠু মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী। আমার আয়ের অংশে গরীবদের হক আছে। আমি কেবল তাদের হক তাদের মাঝে বন্টন করি। এটা আমার ঈমানী দায়িত্বমাত্র। নির্বাচনে দাড়ানোর ইচ্ছা আমার নেই কিন্তু এলাকাবাসীর দাবী আমি যেন তাদের পাশে পৌরসভার একজন কাউন্সিলর হয়ে থাকি। তাদের জন্য আমি চেষ্টা রাখবো। বাকিটা আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন ভালো জানেন।
প্রসঙ্গত দীর্ঘ নয় বছর পর ১০ ডিসেম্বর ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠানের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। মেয়র, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৯ জন কাউন্সিলর ও সাধারণ ওয়ার্ডে ২৭ জন কাউন্সিলর পদে এ নির্বাচনে করবে। নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৫ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৭ নভেম্বর আর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৩ নভেম্বর। ২০১৯ সালের হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী এখানে ভোটার সংখ্যা রয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭১ হাজার ৭৮৬ এবং নারী ৭৬ হাজার ৫৭১ জন।
সর্বশেষ ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ফরিদপুর পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফরিদপুর পৌরসভাকে সিটি কর্পোরশেন ঘোষণা করা হবে এমন একটি উদ্যোগের কারণে গত ২০১৬ সালে ফরিদপুর পৌরসভার নির্ধারিত নির্বাচন স্থগিত করা হয়।