
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)প্রতিনিধি: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মীরজা আব্বাস বলেছেন পানি ছাড়া যেমন মাছ বাঁচে না তেমনি নেতাকর্মী ছাড়া দল চলে না। আমি মুক্তি পেলেও অসুস্থ অবস্থায় অসংখ্য বিএনপি নেতা কর্মীরা এখনো কারাগারের ভিতরে আছে। তাদের সু চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। বি এন পির মুক্তির আন্দোলন চলছে চলবে। ৭ ই জানুয়ারির নির্বাচন তিনি কিছুই জানেন না । তিনি আজ সন্ধ্যা ছয়টা ৫১ মিনিটে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি লাভের পর একথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়,মির্জা আব্বাসের সহধর্মিনী আফরোজা আব্বাস, ঢাকা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরী সহ অসংখ্য বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। সর্বশেষ আজ ঢাকা রেওলয়ে থানার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে হওয়া ১১ মামলার সবগুলোতে জামিন পেয়েছেন তিনি। সোমবার ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস উদ্দিন শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে তিনি সব মামলায় জামিন পেলেন।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে ৫ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৪ জানুয়ারি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা রেওলয়ে থানার আরেক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি মির্জা আব্বাসের পল্টন থানার পাঁচ এবং রমনা মডেল থানার চার মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। পরে ৫ ফেব্রুয়ারি পল্টন থানার চার ও রমনা মডেল থানার দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। পরদিন ৬ ফেব্রুয়ারি শাহজাহান পুর, পল্টন থানার ও রমনা মডেল থানার পৃথক আরও তিন মামলায় ও গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রমনা মডেল থানার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন পান তিনি।