বিএনপি-জামাতের তান্ডব পাক বাহিনীর পৈশাচিক কেও হার মানিয়েছে – এডভোকেট কামরুল ইসলাম

বিএনপি-জামাতের তান্ডব পাক বাহিনীর পৈশাচিক কেও হার মানিয়েছে - এডভোকেট কামরুল ইসলাম

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও ঢাকা- ২ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে মিশে গিয়ে বিএনপি- জামাত যে তান্ডব চালিয়েছে তা পাক বাহিনীর পৈচাশিকতাকেও হার মানিয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা জ্বালাও পোড়াও তাণ্ডবের সাথে জড়িত ছিল না। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে বিএনপি- জামাত তান্ডব চালিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ধ্বংস চালিয়েছেতাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কে এবার কোন মতেই ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি আজ বিকেলে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ঘাটার চরে থানা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন,বিএনপি-জামাত এদেশের উন্নয়ন চায়না। তারা দেশের উন্নয়নকে ধ্বংস করে সন্ত্রাসী কর্ম কান্ড ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। তারা যেন মাথা ছাড়া দিয়ে উঠতে না পারে এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। দেশে টানা কারফু থাকায় মানুষ যাতে অনাহারে না থাকতে হয় সেজন্য অসহায় ও দরিদ্রদের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে তাদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মডেল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিমের উপস্থিতিতে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা শাহাবুদ্দিন শাহা, মডেল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বিপ্লব, শফিউল আজম খান বারকু, ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য ছেলেরা ইসলাম,মডেল থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান রিপন, মডেল থানা যুবলীগের সভাপতি মোঃ মনির হোসেন, হযরতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ আলাউদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হান্নান, কালিন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এহসান উদ্দিন প্রমূখ। এদিকে নাশকতা মামলায় মডেল থানা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীর নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় মডেল থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে নিন্দার ঝড় বইছে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে নাশকতা মামলায় অন্তর্ভুক্ত আসামিদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হচ্ছে নূর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ আলমগীর, মোহাম্মদ কামাল, মোহাম্মদ কালু ও আবুল মেম্বারসহ ৯ জন। অন্যদিকে মডেল থানায় নাশকতা মামলায় অন্তর্ভুক্ত আসামিদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হচ্ছে হযরতপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ লাল চান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ সেলিম ও মোহাম্মদ আক্তার মেম্বার। হযরতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, যারা নাশকতা মামলায় আওয়ামী লীগের এই নেতাকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন তাদের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা এই মামলা থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দ্রুত অব্যাহতি দেয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *